হাইকোর্টের রায়ে বাতিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৬,৫৩১ শিক্ষকের নিয়োগ
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৬,৫৩১ জনের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া ৩০ জন প্রার্থীর করা রিটের শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এর আগে, চলতি বছরের জুলাই মাসে আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে রায় দেন। এতে তৃতীয় ধাপে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি অনিশ্চয়তায় পড়ে। হাইকোর্টের এই রায়ে সেই অনিশ্চয়তা দূর হলো এবং মেধার ভিত্তিতে নতুন নিয়োগের পথ সুগম হলো।
Source:news24.com
কীভাবে শুরু হয়েছিল এই নিয়োগ প্রক্রিয়া?
গত ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) ৬,৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
তবে, এর আগেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনি জটিলতায় পড়ে। গত ২৮ মে, হাইকোর্ট এক আদেশে এই দুই বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা ও চূড়ান্ত প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশ বাতিল করে দিলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে এবং ফল প্রকাশ করে।
কিন্তু কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের বিষয়ে হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ে এখন নতুনভাবে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।